৬ জুন : নাগরিকত্ব আইনের বিধি প্রণয়নের সময় তিন মাস বেড়ে ৯ অক্টোবর
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (কা) বিধি প্রণয়ন ফের পিছিয়ে গেল। এ জন্য সংসদীয় আইন সংক্রান্ত কমিটি সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়েছে। বর্তমান কোভিড অতিমারির জন্যই ফের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রবীণ কর্তা, জানান, গত মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক করোনার পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য কমিটির কাছে চিঠি দিয়ে়ছিল। মন্ত্রকের অনুরোধে দ্বিতীয়বারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার এ সংক্রান্ত কমিটি । এই সময়সীমা ৯ অক্টোবর করছে কমিটি। এর আগে সিএএ বিধি প্রণয়নের জন্য ৯ এপ্রিল এবং ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা স্থির করেছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী মাসের মধ্যে এই বিধি তৈরি করার চেষ্টা করব এবং অনুমোদনের জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে জমা দেব।’
নাগরিকত্ব আইন কবে কার্যকর হবে এ নিয়ে ক্রমশই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে আইন পাশ করানোর পরেও এখনও কেন তা কার্যকর করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আর শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলই নয়, দেশের মানুষের একাংশের মধ্যেও উঠছে সেই একই প্রশ্ন। এদিকে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নিদেশিকা জারি করেছে ।এই নিদেশিকার আওতায় আনা হয়েছে গুজরাট, রাজস্থান , ছত্তিসগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের ১৩ টি জেলাকে। এই সব জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন ও পার্সি ধর্মের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্বএর আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে শর্ত—২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা এসেছে, তারাই নাগরিকত্ব পাবে। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি অসম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গকে । যদিও ভারতের এই তিনটি রাজ্যে সর্বাধিক উদ্বাস্তু এসেছে বাংলাদেশ থেকে। নাগরিকত্বের এই আবেদন অনলাইনে করতে হবে। আর প্রয়োজন মতো জেলার কালেক্টর এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রসচিব সেগুলি খতিয়ে দেখবেন।
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। নতুন বা সংশোধিত আইনের ক্ষেত্রে বিধি প্রণয়ন জরুরি। আইন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার ছ’মাসের মধ্যে এই বিধি তৈরি করতে হয়। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও এখনও কোনও বিধি প্রণয়ন করা হয়নি। ওই কর্তা বলেন, এ ক্ষেত্রে নানা কারণে বিলম্ব হয়েছে। তবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্য সিএএ বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে কোনও এক বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে।
আরো দেখুন : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পরীক্ষা বাতিল, মূল্যায়নে কমিটি