করিমগঞ্জ, ৬ জুন : করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দির বন-জঙ্গলে অবৈধভাবে ঘাঁটি গেড়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। আর এই রোহিঙ্গারাই ওইসব এলাকার বনাঞ্চল ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি করিমগঞ্জের ডিএফও জালনুর আলির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, বারবার বলার পরও ডিএফও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
করিমগঞ্জ জেলায় বন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কিছুদিন ধরে অভিযান চলছে। শনিবার ওইসব এলাকার বাসিন্দা কিছু জনজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা করিমগঞ্জে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ দেখান। তাদের অভিযোগ, বাইরে থেকে আসা কিছু মানুষ পাথারকান্দির বেশ কিছু এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছে বাসগৃহ। ফলে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, এই অবৈধ বসবাসকারীরাই বন ধ্বংস করছে। ফলে শীঘ্রই যেন প্রশাসন থেকে বনাঞ্চলের জমি চিহ্নিত করা হয় এমন দাবি জানান তাঁরা। এদিকে প্রতিবাদ কর্মসূচীর খবর পেয়ে উপস্থিত হন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বহু স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ঘাঁটি গেড়েছে। এর ফলে স্থানীয়রা সমস্যায় ভুগছেন।
একদিকে বেআইনি ভাবে ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল। তিনি আরও বলেন, বিগত কিছু বছর থেকে বন মাফিয়াদের দখলে রয়েছে পাথারকান্দির বনাঞ্চল। এরা এলাকার মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করছে। অথচ বন বিভাগের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরো দেখুন : ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ, রাজ্যে শীর্ষ স্থানে ফের কাছাড় জেলা