কয়লা খাদানে বৃষ্টি বিঘ্নিত উদ্ধার অভিযান, পাঁচদিন পরও হদিশ নেই শ্রমিকদের
৪ জুনঃ ক্লেরিয়াট কয়লা খাদানে দুর্ঘটনার পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও নিখোঁজ অথবা নিহত শ্রমিকদের কোনও সন্ধান বের করতে পারেনি মেঘালয় সরকার। এমনকি শ্রমিকদের উদ্ধার নিয়েও সরকারের যুদ্ধকালীন তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। অবশ্য পাহাড়ের বৃষ্টি উদ্ধারের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে মেঘালয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এপর্যন্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই কোয়ারির সর্দারকে খোঁজে বের করতে নোটিশ জারি করেছে ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস প্রশাসন। কিন্তু যারা নিখোঁজ রয়েছেন অথবা নিহত হয়েছেন বলে খবর, তাদের পরিবারের কাউকে এখনও ঘটনাস্থলে যেতে দিচ্ছে না মেঘালয় পুলিশ।
গত রবিবার ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস জেলার ক্লেরিয়াট এলাকার উম্পলেং বস্তির কয়লা খনিতে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৪ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে খবর। যদিও পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলা প্রশাসন একজনও নিহত হওয়ার কথা এ পর্যন্ত ঘোষণা করেনি। তারা স্রেফ জানায়, কয়লা খনিতে দুর্ঘটনার ফলে ৫ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানকার প্রশাসন এ-ও জানায়, নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারের যাবতীয় ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে সরকারের ওই বিবৃতির মিল নেই বলে শ্রমিকদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পরদিন এক খাসি ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করার কথা জানিয়েছিলেন সেখানকার এসপি জগপাল সিং ধানোয়া। তবে কোবিড পজিটিভ ওই লোকটির নাম তিনি প্রকাশ করেননি। জানা যায়, ওই ঘটনায় আরেকজকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। উম্পলেং বস্তির ওই পাথর খাদানের অন্যতম মালিক সুতুংগার বাসিন্দা শিনলাঙ লাংস্থাঙ নামের লোকটিকে এদিন হেফাজতে নিয়েছে ক্লেরিয়াট পুলিশ। রাজনৈতিক প্রভাব থাকা মূল মালিককে এখনও জেরাই করা হয়নি। নিজের ভাই মেঘালয় সরকারের প্রভাবশালী একজন হওয়ার সুবাদে ক্লেরিয়াট বাজারের বাসিন্দা ওই বড় মালিককে নিয়ে রা কাড়ছে না সরকার।
বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের স্টেট ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আই মাওলাং জানান, ১৫২ ফুট গভীরে হওয়া ঘটনাটিকে খুব গুরুত্ব সহ দেখছে মেঘালয় সরকার। কোয়ারিতে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার করতেও সব চেষ্টা চলছে। তাছাড়া মেঘালয়ের গৃহ মন্ত্রী লাখমেন রিম্বাই এবং রাজস্ব ও দূর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রী কিম্যান শায়লা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসেও ওই ক্লেরিয়াট এলাকার এক কয়লা খাদানে এরকম এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা হয়। ৩৭০ ফুট গভীর সেই কোয়ারিতে যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫ জন শ্রমিক। তখনও এবারের মতো কাউকে কাছে যেতে দেয়নি মেঘালয় পুলিশ। সংবাদমাধ্যমেরও অনুমতি মেলেনি।
আরো দেখুন : বিয়ের দাবি নিয়ে পোস্টার হাতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় কলেজ ছাত্রী