ভারত-বাংলা সীমান্তে কয়লার কালো ব্যবসা, এবার অভিযানে করিমগঞ্জের এসপি
করিমগঞ্জ, ৩১ মে : কয়লার কালো ব্যবসার অভিযোগ পেয়ে এবার নড়েচড়ে বসল করিমগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের সুতারকান্দি এলাকায় অভিযানে নামলেন খোদ পুলিশ সুপার। পুলিশের অভিযান শুরু হতেই লরি চালকরা সরে যায়। প্রায় দশটি কয়লা বোঝাই লরি আটকে দেয় পুলিশ বাহিনী। সদর থানায় কয়লার কাগজ সহ তলব করা হয়েছে আমদানি রপ্তানিকারী ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন থেকে কয়লার অবৈধ পাচার নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে । সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এবার পুলিশি অভিযান চলবে বলে জানা গেছে।
কয়লার কালোবাজারি বরাবরই সংবাদ শিরোনাম দখল করেছে । এমনকি সিন্ডিকেটরাজ কায়েম রয়েছে করিমগঞ্জ সহ গোটা উপত্যকায়। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা মাফিয়ারা চালিয়ে গেছেন তাদের ব্যবসা। শাসক বিরোধী কারো মুখে রা ফুটেনি। এবার কয়লার এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আচমকা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার । গত সপ্তাহে জিএসটি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুতারকান্দি সীমান্তে অভিযান চালান । সেসময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে মাঠে নামেন । দিসপুরে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। রবিবার বিকেলের দিকে পুলিশ সুপার নিজে ছুটে যান সুতারকান্দি সীমান্তে । সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়লা বোঝাই লরি । পুলিশ যাওয়ার আঁচ পেয়ে চালকরা কেটে পড়ে । পুলিশ সুপারের নির্দেশে লরিগুলির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ । সেই লরিগুলির পাশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সিআরপিএফ । এদিকে সদর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে করিমগঞ্জের আমদানি রপ্তানি বিভাগের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা অমরেশ রায়কে । অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও নিজেদের কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হতে ডেকে পাঠিয়েছেন পুলিশ সুপার । নিজে কাগজ পত্র পরীক্ষা করছেন তিনি ।
উল্লেখ্য মেঘালয় থেকে কয়লা উত্থাপন বন্ধ করার নির্দেশ রয়েছে । কিন্তু একটা সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে । মেঘালয় থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা তুলে আনা হচ্ছে বিভিন্ন কৌশলে । সেই সিন্ডিকেট বরাক উপত্যকায় সক্রিয় রয়েছে । অতিরিক্ত বোঝাই কয়লা আনা হচ্ছে কিন্তু রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে । সেই কয়লা খুব কৌশলে সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে ।
আরো দেখুন : করোনা রোগীকে সাইকেলে চাপিয়ে ১ কিলোমিটার দূর অ্যাম্বুলেন্সে তুললেন চালক