কোভিড টেস্টে ফের রাজ্যের শীর্ষে শিলচর মেডিক্যাল, দু’লক্ষ পরীক্ষা সম্পূর্ণ
শিলচর, ৮ জুন : করোনা পরীক্ষায় শীর্ষে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড পরীক্ষাগার। সোমবার পরীক্ষাগারে পূর্ণ হয়েছে দু’লক্ষ আরটিপিসিআর পরীক্ষার মাত্রা। অসমে এই প্রথম কোনও কোভিড পরীক্ষাগার এই সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হল।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড পরীক্ষাগারের প্রধান ডাঃ দেবদত্তা ধর চন্দ জানিয়েছেন, ‘এক লক্ষ আরটিপিসিআর পরীক্ষায়ও রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে শীর্ষে ছিলাম আমরা। এবার দু’লক্ষের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি। আসলে বরাকের তিন জেলা মিলিয়ে ভাল সংখ্যক করোনা পরীক্ষা যে হচ্ছে, এটি তারই প্রমাণ।’ দেবদত্তা এদিন ফের সকলকে কোভিড পরীক্ষা করানোর উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এমনকি, আগে পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হলে মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেকটাই এড়ানো সম্ভব বলেই অভিমত তাঁর।
মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল পাঁচটা অবধি এখানের কোভিড পরীক্ষাগারে ২ লক্ষ ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে করোনার হানা প্রথমবার পড়ার পর শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধীনে কোভিড পরীক্ষাগার চালু হয়। রাজ্যে প্রথম কোভিড রোগীও ধরা পড়েছিলেন এই পরীক্ষাগারেই। প্রথমদিকে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তখন সংক্রমণ ধরা পড়ার একমাত্র উপায় ছিল আরটিপিসিআর পরীক্ষাই। ফলে ওইসময় নমুনা পরীক্ষার চাপ সামলাতে দিনে আঠারো ঘন্টা করোনাভাইরাস সন্ধানের কাজ চলেছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড পরীক্ষাগারে। পরীক্ষাগারে কর্মীসংখ্যাও কম ছিল। তাই টানা ছ’মাস একদিনও ছুটি না নিয়ে নাগাড়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন দেবদত্তার টিমের সদস্যরা।
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া এদিন দেবদত্তা ও তাঁর দলের সদস্যদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোভিড পরীক্ষাগারের প্রত্যেকেই গত বছর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এর ফলেই রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজের আগে এই সংখ্যক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
আরো দেখুন : পাকিস্তানের টিভিতে রবীন্দ্র সংগীত ‘আমার পরাণ যাহা চায়’, মুগ্ধ নেটিজেনরা