অসমের ভিতরে ঢুকে মিজো দুষ্কৃতী হামলা, উত্তপ্ত সীমান্তের খোঁজ নিলেন মন্ত্রী পরিমল
হাইলাকান্দি, ৭ জুন : অসম-মিজোরাম সীমান্ত ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হাইলাকান্দি জেলায় গল্লাছড়া গ্রামের সীমান্তে অসমের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে মিজো দুষ্কৃতীরা। এই হামলায় ওই এলাকার কিছু ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে রবিবার খোঁজখবর নিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তিনি এদিন জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা-কে ফোন করে পরিস্থিতি সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়েছেন।
জেলাশাসক মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতী হামলায় গল্লাছড়া গ্রামের একটি ঘর পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি বাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ও জেলার পুলিশসুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অসম-মিজোরাম সীমার দেড়শো মিটারের মধ্যেই এই হামলা ঘটেছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে হলেও পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে কোনও অশান্তির খবর নেই। পরিমল শুক্লবৈদ্য জেলাশাসককে ওই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার সমস্ত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি গল্লাছড়া ও পাশের গ্রামগুলিতে মানুষের মধ্যে ভীতি দূর করতে প্রয়াসের কথাও বলেছেন জেলাশাসককে।
হাইলাকান্দি পুলিশ সীমান্ত এলাকার গুটগুটিতে অস্থায়ী শিবির তৈরি করেছে। এদিকে রবিবার সমস্যার খোঁজ নিতে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন লস্করের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সেখানে যান। জহির বলেন, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই অসম-মিজোরাম সীমা এলাকায় সমস্যা বাড়ছে। তাঁর পরামর্শ, ওই এলাকায় ভাল পথঘাট নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় আধাসেনার স্থায়ী শিবির করা হোক।
কৃষক মুক্তির নেতারা অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রক্ষীদের কাছে পর্যাপ্ত রেশন ও পানীয়জলের ব্যবস্থা নেই। তাই এদের প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীদের খাদ্যাভাবের অবস্থা দেখে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, মিজোরাম সরকার যখন তাদের পুলিশ-প্রশাসনকে সবরকম সুবিধা দিয়ে প্রহরার দায়িত্ব দিয়েছে, তখন অসম পুলিশকে বৃষ্টির জল খেয়ে দিনযাপন করা দূর্ভাগ্যজনক। এ নিয়ে হাইলাকান্দির জেলা প্রশাসনকে নজর দিতে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
আরো দেখুন : কার্ফুতে ব্যবসা বন্ধ, যৌনকর্মীকে মেরে তাড়ালো নিষিদ্ধপল্লীর মক্ষীরানিরা