শিলচর, ৬ জানুয়ারিঃ ১১টি দেশের ২২টি ছবি নিয়ে শুরু বীক্ষণ চলচ্চিত্র উৎসব : বীক্ষণ সিনে কমিউনের উদ্যোগে ২২তম চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয়েছে। মঙ্গলবার শিলচরে দ্বিজেন্দ্র-ডলি মেমোরিয়াল লাইব্রেরীর দ্বিতলে চলচ্চিত্র ফিতা কেটে উৎসব-এর উদ্বোধন করেন বরেণ্য নাট্যকার চিত্রভানু ভৌমিক। যদিও এবারের চলচ্চিত্র উৎসব ২৩তম হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গত বছর প্রেক্ষাগৃহ না পাওয়ায় উৎসবের আয়োজন করা যায়নি বলে জানান রত্নদীপ দেব।তিনি শুরুতেই এ ব্যাপারে একটি স্পষ্টীকরণ তুলে ধরে বলেন, সাধারণত জেলা গ্রন্থাগার ভবন অথবা গান্ধী ভবনেই চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হয়। কিন্তু জেলা গ্রন্থাগার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে প্রেক্ষাগৃহ মেলেনি গত বছর। ঠিক তদ্রুপ শোনা গিয়েছিল গান্ধী ভবনেরও সংস্কার করা হবে। ফলে ২২তম চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা যায়নি।
এদিন চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করে নাট্যকার চিত্রভানু ভৌমিক বীক্ষণের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, আজকের এই কঠিন দিনগুলি কাটিয়ে নতুন দিনের আশায় মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। চলচ্চিত্র যে বাস্তবেরই প্রতিফলন, তা তিনি নিজের দেখা কয়েকটি চলচ্চিত্রের উল্লেখ করে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এই অঞ্চল, এখানকার মাটির দুঃখ -যন্ত্রণা, সুখ-অসুখ নিয়ে ছবি চলচ্চিত্র তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি একজন নাট্যকর্মী। ‘নাটকের মাধ্যমে আমরা এই কাজটা করছি, এবার চলচ্চিত্রে হোক’ এই আহ্বান রাখেন তিনি। অন্যদিকে গত ২২ বছর ধরে বীক্ষণ যে শিলচরের দর্শকদের ভালো ছবি দেখার ও উপভোগ করার পরিসর দিয়েছে তা উল্লেখ করেন অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী। তিনি শিলচরের চলচ্চিত্রকর্মী সন্দীপ আচার্য ও প্রয়াত দেবব্রত চৌধুরীর চলচ্চিত্র নিয়ে উন্মাদনার কথা উল্লেখ করে পার্থপ্রতিম মৈত্র ও বিশ্বজিৎ শীল-এর চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনার কথা বক্তব্যে তুলে ধরেন। গত ২২ বছরে শিলচরে ভালো ছবি দেখার জন্য কিছু দর্শক তৈরি করে দিয়েছে বীক্ষণ, বলেন তিনি। তবে বীক্ষণের কমল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বক্তারা অধ্যাপিকা দুর্বা দেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন দ্বিজেন্দ্র-ডলি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট যদি সুযোগ করে না দিত তাহলে এই উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হত না। তবে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে এবং এর সঙ্গে সামিল হতে পেরে খুবই আনন্দিত অধ্যাপিকা দুর্বা দেব। তা তিনি তাঁর বক্তব্যে ব্যক্ত করেন। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান বনতোষিনী চৌধুরী। উদ্বোধন সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অভিযান’ এবং ফ্রেডরিক মারিও বাসতস পরিচালিত পর্তুগিজ ছবি ‘এয়ার কন্ডিশনার’।এই উৎসব চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১১টি দেশের ২২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরো দেখুন : সহযোগী ভাষা, নিযুক্তি বঞ্চনা, নাগরিকত্ব নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা মুখ খুলুন : বরাকবঙ্গ