শিলচর, ৪ ডিসেম্বর : ২০৩০-এর আগেই হিন্দু রাষ্ট্রের স্বপ্ন সাকার হচ্ছে।এ কথা জানালেন বজরং দলের অখিল ভারতীয় সংযোজক সোহন সিং সোলাঙ্কি। তিনি বলেছেন, বিগত পাঁচবছরে রামমন্দির, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (কা) সহ হিন্দু-স্বার্থ সম্পর্কিত বহু পদক্ষেপ করা হয়েছে। যেটুকু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে, সেটাও সম্পন্ন হয়ে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। তাঁর কথায়, ২০২০ থেকে ২০৩০-এর মধ্যেই রচিত হবে হিন্দু স্বাভিমানের প্রকৃত ইতিহাস। শিলচর বঙ্গভবনে বজরং দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। প্রধান বক্তা সোহন সিং সোলাঙ্কি বলেন, রাম মন্দির নিছক মন্দির নয়, হিন্দু স্বাভিমানের প্রতীক। ভবিষ্যতের রাষ্ট্রীয় মন্দির। কিন্তু এই মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ৪৯৬ বছরে ৭৭টি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দিতে হয়েছে আত্মাহুতি। তাঁর কথায়, রাম মন্দির মানে হিন্দু স্বাভিমান-এর উদয়ের বার্তা। মন্দির নির্মাণে দেশের সব হিন্দুদের এগিয়ে আসতে হবে। এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞে বজরং দলের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক হিন্দু পরিবার থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করতে হবে বজরং দলের কর্মীদের।
সোলাঙ্কি আরও বলেন, ভারতে ইসলামি আতঙ্কবাদ প্রবেশ করেছে হিন্দুদের পিঠে ছুরি মেরে। সামনে থেকে বুকে ছুরি মারার সাহস হয়নি কারোরই। ভারতে বিভিন্ন হিন্দুদের দেবালয় ধ্বংসের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেছেন, মন্দির নয়, ওদের টার্গেট ছিল হিন্দু সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেওয়া। যাতে হিন্দুরা আর কোনও দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। কিন্তু আক্রমণকারীদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যার জ্বলন্ত প্রমাণ, অযোধ্যায় রাম মন্দির।এ কথা উল্লেখ করে সোলাঙ্কি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, রাম মন্দির হয়েছে। অদূরভবিষ্যতে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ নিয়ে ফের একবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে অখণ্ড ভারত।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে হিন্দু আতঙ্কবাদ, হালে সংযোজিত হয়েছে ‘মবলিঞ্চিং’। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই যদি হিন্দুরা আতঙ্কবাদী হয়ে উঠেন, মবলিঞ্চিং-এ জড়িয়ে পড়েন, দেশে হিন্দু ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এই সত্যটা ওদের বুঝতে হবে। এ প্রসঙ্গে ভারতের অতীত গৌরব-গাথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হিন্দুদের সংস্কৃতি আতঙ্কের সংস্কৃতি নয়। এই পুণ্যভূমিতে রচিত হয়েছে পৃথিবীর প্রথম পুস্তক ঋগ্বেদ। তবে প্রয়োজনে শস্ত্র হাতে তুলে নিতেও হিন্দুরা দ্বিধা করবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৪৭ সালে শেখানো হয়েছিল এক গালে মারলে অন্য গাল বাড়িয়ে দিতে। এই করেই হিন্দুদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেইদিন আর নেই। এখন কেউ হাত তুললে সেই হাতই কেটে ফেলা হবে। প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে তিনি হিন্দু যুব সমাজকে শরীর চর্চা, শস্ত্র পূজা সহ একাধিক পরামর্শ প্রদান করেন। সতর্ক করে দেন, হিন্দুকে হিন্দুর বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এব্যাপারে সবাইকে আরও সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের শুভরঞ্জন দাস, দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তের সভাপতি শান্তনু নায়েক, সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য, সংগঠন মন্ত্রী পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল, জেলা সভাপতি দেবাশিস সেনগুপ্ত,সম্পাদক মিঠুন নাথ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রান্ত সংগঠক বিষ্ণু ভট্টাচার্য প্রমুখ।