গুয়াহাটি, ৩১ ডিসেম্বর : সদনে চেঁচামেচি এবং অধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্ত্যবের জেরে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কংগ্রেস বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি। বিধানসভায় অসম সীমান্তে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির আগ্রাসন নিয়ে সরব হওয়ায় অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামীর রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল রূপজ্যোতিকে। এমনকি অধ্যক্ষের নির্দেশে মার্শাল ডেকে রূপজ্যোতিকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই অধ্যক্ষকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কংগ্রেস বিধায়ক। রূপজ্যোতি বলেছিলেন, টিকিটের টানাটানির দরুণ সরকারকে তেল মারছেন অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ। তাঁর এই মন্তব্য তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই ইস্যুতে রূপজ্যোতিকে সমালোচনার সুনামিতে ভাসিয়ে দেয় শাসক দল। রূপজ্যোতির বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন বিজেপি বিধায়ক পদ্ম হাজারিকা। পদ্মর সুরে সুর মিলিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেন, বিধানসভা এবং অধ্যক্ষের অমর্যাদা করেছেন রূপজ্যোতির। সেজন্য তাঁর শাস্তি পাওয়া উচিত।
অবশ্য সংযম বজায় রেখেই এই বিষয়ে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ। সদনে চেঁচামেচি এবং অধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্ত্যবের জেরে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কংগ্রেস বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি। বিতর্ক থেকে শতমাইল দূরে থেকে তিনি বলেন, ‘রূপজ্যোতি যা করেছেন তা অন্যায়ের সমান। বিধানসভার নীতি নিয়ম ভঙ্গ করা ঠিক হয়নি তাঁর। তবে আমার এই বিষয় নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ওর বিবেকের উপর সবকিছু ছেড়ে দিলাম। তবে মার্শাল ডেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার সঙ্গে টিকিট কিংবা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ এদিকে বুধবার বিতর্কের আগুন নির্বাপিত করতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নেন রূপজ্যোতি। সঙ্গে বলেন, আবেগের বশে এরকম আচরণ করেছেন এবং এজন্য ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছেন।
আরো দেখুন : মিশন নিউ ইন্ডিয়া ও মোদি বিচার মঞ্চের বিস্তার ঘটছে উত্তর-পূর্বে, দায়িত্বে দীপঙ্কর