শিলচর, ৩ নভেম্বর : ১৯২০ সালের ২ নভেম্বর শিলচর সিভিল হাসপাতালের শিলান্যাস করেন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় ফ্রেডরিক জন নেপিয়ার। সোমবার এই হাসপাতাল শতবর্ষ পূরণ করল। তবে ১৯২০ সালের আগেই এই হাসপাতালের সূচনা হয়। ১৮৮৪ সালে। সেই সময়কার শিলচরের সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্ব হিমাংশুজ্যোতি করের প্রচেষ্টায় দাতব্য সদর হাসপাতাল নামে যাত্রা শুরু হয় সিভিলের। পরে ১৯২০ সালে এটাকে সিভিল হাসপাতালে উন্নীত করে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৯৪ সালে নাম পাল্টে হয়, সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতাল।
শিলচর সিভিলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সোমবার।এতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দিলীপকুমার পাল সহ অন্যান্যরা। সাংসদ রায় বলেছেন, শতবর্ষের যাত্রা পথে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে শিলচর সিভিল হাসপাতাল।এদিন উত্তরপূর্বের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন সাংসদ তথা শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ডাঃ রাজদীপ রায়।
হাসপাতাল সুপার ডা: জিতেন সিং হাজারির পৌরোহিত্যে সভায় সিভিল হাসপাতালের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল বলেন, রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে পরিবর্তন। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে হাসপাতালের উন্নয়ন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে হাসপাতালের সংক্ষিপ্ত পরিসরে ল্যাবরেটরি, আইসিইউ, ব্লাড ব্যাংক, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। কায়াকল্প প্রকল্পে হয়েছে রাজ্য সেরা। ওইসময় হাসপাতাল সুপার ছিলেন ডাঃ আশুতোষ বর্মন। তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ফের রাজ্য সেরার মর্যাদা আদায়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এমনকি ওয়ার্কচার্জ কর্মীরাও যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, ৩০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত হলে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে বাধ্য। কাছাড়ের জেলাশাসক তথা হাসপাতাল পরিচালন কমিটির সভাপতি কীর্তি জাল্লি উল্লেখ করেন, শতবর্ষের সন্ধিক্ষণে শিলচর সিভিল হাসপাতালের জন্য কিছু করার আবেদন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। তখনই ৩০০ শয্যার হাসপাতালের ঘোষণা করেন মন্ত্রী। জেলাশাসক এও বলেন, শতবর্ষ উদযাপন শুধুমাত্র একটা বিল্ডিং বা ইঁটকাঠ পাথরের কাঠামোর শতবর্ষ উদযাপন নয়। একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পেছনে জড়িয়ে থাকে বহু মানুষের মেধা, শ্রম এবং আত্মত্যাগ। সেটাকেও স্মরণ করতে হবে। শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে হাসপাতাল সুপার ডাঃ জিতেন সিং-হাজারি জানান, মাসব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হবে শতবর্ষ।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা: সুদীপজ্যোতি দাস, উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তাওয়ান প্রমুখ।