শিলচর, ১২ ডিসেম্বর: শহরের এক ‘বিতর্কিত’ রাজনৈতিক কর্মকর্তার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিলচর কনকপুর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক রাজদীপ দেবরায়, এনএসইউআই-র জেলা সভাপতি মাসুক আহমদ এবং এনএসইউআই সদস্য কবির উদ্দিনকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সঙ্গে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের মোবাইল সেটও।
কংগ্রেস কর্মকর্তা রাজদীপ দেবরায়, মাসুক আহমদ এবং কবীর উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে গত বুধবার শিলচর সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন ওই ‘বিতর্কিত’ রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ওই অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজদীপ, মাসুক এবং কবীর ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজদীপদের সদর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। ওসি ডিতুমনি গোস্বামী জানিয়েছেন, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তদন্তের স্বার্থে তলব করলেই থানায় হাজির হওয়ার শর্তে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া বাস্তবিকই এরা ভিডিও ভাইরাল করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিন জনের মোবাইল সেট।

এদিকে জেলা কংগ্রেসের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজদীপরা কোনওভাবেই অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার সঙ্গে যুক্ত নন। আসলে নিজে অশালীন কার্যকলাপে জড়িয়ে ছিলেন অভিযোগকারী ‘বিতর্কিত’ সেই রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তাঁর অপকর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর মুখ রক্ষা করতে রাজদীপ, মাসুক ও কবীরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। সূত্রটির দাবি, ‘বিতর্কিত’ ওই কর্মকর্তা খুব সম্ভবত “ভিডিও কলিং” চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, চক্রের যুবতীর উস্কানিতে তিনি অশ্লীলতায় মেতে উঠলে তা রেকর্ডিং করে নেওয়া হয়। এরপর কোনওভাবে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।