শিলচর, ১৬ জানুয়ারি: শিলচর শহরে একের পর এক ছিনতাই-এর ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু কোনও ঘটনায়ই পুলিশ দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে পারছে না, উদ্ধার হচ্ছে না ছিনিয়ে নেওয়া অর্থ। বিশেষ করে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের অর্থ লুটের ঘটনা এ শহরে যেন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার দুপুর ও সন্ধ্যায় শহরের দুই অংশে ঘটেছে এমন দুটি ঘটনা।
প্রথম ঘটনা ঘটে দুপুর সোয়া একটা নাগাদ তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে। বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় তারাপুর উকিল বাজার এলাকার শংকর পাল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির। শংকরবাবু এদিন শিলংপট্টির ব্যাঙ্ক অব বরোদা থেকে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উঠান। এরপর ৪ লক্ষ টাকা ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় জমা দিয়ে বাকি ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। টাকা ছিল একটি ব্যাগে। তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পেছন দিক থেকে আসা বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা তার টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। শঙ্করবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, পালসার বাইকে ছিল দুজন দুষ্কৃতী। পেছনে বসা দুষ্কৃতীটি তার টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। দুষ্কৃতীরা ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান। সেসময় অন্য একজন লোক দুষ্কৃতীদের বাইক আটকাতে গেলে তিনিও পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হন।
এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ যখন শহরজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল তখন সন্ধ্যা সোয়া ৬টা নাগাদ পুলিশকে যেন বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা ফের একই কায়দায় শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় হাতিয়ে নেয় শশাঙ্কশেখর পাল নামে এক ব্যবসায়ীর প্রায় ২ লক্ষ টাকা। চৌরঙ্গী এলাকারই বাসিন্দা শশাঙ্কবাবুর দোকান রয়েছে ফাটক বাজারে। সারাদিন দোকানে বিক্রি বাটা শেষে তিনি একটি ব্যাগে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে তিনি প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তখনই বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় টাকার ব্যাগটি।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি শহরের ইটখোলা স্বামীজী রোডে সর্বাণী দেব নামে এক যুবতীর কাছ থেকে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নেয় ৩ লক্ষ টাকা। শহরে একের পর এক এমন ঘটনায় জনমানসে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে পুলিশ দুষ্কৃতীদের টিকির নাগালও পাচ্ছে না এতে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
আরো দেখুন : কবীন্দ্রকেই সম্মান দেয়নি ওরা, বিজেপিকে কটাক্ষ অজিতের