শিলচর, ২৩ জানুয়ারি: ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর এবার ফের সংবাদ শিরোনামে চলে এল শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্ক। মেডিক্যালের খেলার মাঠ থেকে শুক্রবার একটি রক্তের প্যাকেট উদ্ধার হয়। ব্লাড ব্যাঙ্কের লেবেল সাঁটা রয়েছে ওই প্যাকেটের গায়ে। প্যাকেটের একদিক পোড়া। সকালের দিকে কয়েকটি ছেলে মেডিক্যালের খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। তাদের মধ্যে থেকেই একজনের আচমকা চোখ পড়ে রক্তের প্যাকেটটির উপর। এর পরই বিষয়টি চাউর হয়ে যায়।

জানা গেছে, এই রক্তের প্যাকেটটি মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। এক ইউনিট পিআরবিসি ব্লাড ছিল এর মধ্যে। তবে প্যাকেটের উপর থাকা লেবেলের কিছুটা পুড়ে যাওয়ায় কোন রোগীর জন্য সেটা আনা হয়েছিল তা বোঝা যায়নি। নিয়ম হচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া কোনও রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহ করা হলে কোনও কারণে সেটার প্রয়োজন না পড়লে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় ব্লাড ব্যাঙ্কেই। আর যদি কিছুটা ব্যবহার হয়ে যায়, তাহলে বাকি থাকা রক্ত-সহ গোটা প্যাকেটটিই নষ্ট করে দেওয়া হয়। এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্তও একটা সময়ের পর নষ্ট করে দেওয়ার নিয়ম। এর জন্য মেডিক্যাল কলেজের ভেতরেই রয়েছে ইন্সিনেটর। ফলে মাঠের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় রক্তের প্যাকেট পাওয়া একটি আশ্চর্যকর বিষয়ই বটে। বিশেষ করে কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত চুরি যাওয়ার বিষয়ও প্রকাশ্যে এসেছিল। তাই এ দিনের ঘটনা ফের কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মেডিক্যালে ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রক্তের প্যাকেটটি নিশ্চয়ই কোনও ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রোগীর জন্য। পরে হয়তো সেটা লাগেনি। এমন অবস্থায় সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে নষ্ট করে দেওয়ারই কথা। আমার মনে হয়, সেখান থেকেই কোনওভাবে কুকুর বা অন্যকিছু সেটাকে নিয়ে মাঠের মধ্যে ফেলে দেয়।’ এ ঘটনায় মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুলকুমার বেজবরুয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছি।’
আরো দেখুন : শীঘ্রই বাতিল হচ্ছে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার পুরনো নোট