কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মেঘালয়ের ক্লেরিয়েটের কয়লা খনিতে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করুণ মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন ভাই সহ ছয়জন হত দরিদ্র শ্রমিকের।এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি রাতাবাড়ি কেন্দ্রের পূর্ব জালালাবাদ গ্রামে এবং অপর দুইজন কালাইন এলাকার বলে জানা গেছে। প্রায় মাস দিন আগে জালালাবাদ গ্রামের মাহমুদুর রহমানের তিন ছেলে মকবুল হোসেন (৪৫), আলি হোসেন (৪০), দিলোয়ার হোসেন (৩৫) সহ প্রতিবেশী জিলাল উদ্দিন (৩০) মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তীয়ার ক্লেরিয়েট এলাকার রম্বায় ডেইনচালুলোর কয়লা খনিতে কাজ করতে যান। প্রায় মাস দিন ঠিকমত কাজ করলেও নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসের শিকার হয়ে গতকাল ২০০ ফুট গভীর খনিতে কয়লা তোলার সময় ক্রেন ভেঙ্গে তিন ভাই সহ ছয়জন হত দরিদ্র শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে। জানা গেছে, মৃত তিন ভাই পাঠাখাউরী জিপি সভাপতি ইসলাম উদ্দিন তালুকদারের নিকটাত্মীয় ও একজন তাদের প্রতিবেশী এবং অপর দুইজন কাছাড়ের কালাইন এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাঠাখাউরী জিপি সহ আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদের পরিবারের কান্নার রোল বাতাস ভারী করে তোলে। ঘটনার পর মেঘালয়ের অবৈধ খনন মাফিয়ারা মৃতদেহগুলি গোপন করে ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পাঠাখাউরী জি পি সভাপতি এ নিয়ে দিসপুরে অবস্থানরত রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিধায়ক মালাকার করিমগঞ্জের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারর সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেন। তিনি ক্লেরিয়েটের প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন। এতে নড়ে বসে মেঘালয় পুলিশ। ফলে মেঘালয় পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে এবং ক্লেরিয়েটের হাসপাতালে তিনটি দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়, অপর তিনটি মৃতদেহ শনিবার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে মেঘালয় থেকে মৃতদেহগুলো নিয়ে আসার জন্য বিধায়ক মালাকার ও সাংসদ কৃপানাথ মালাহের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, শনিবারই মৃতদেহগুলি সংশ্লিষ্টদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্তা নেওয়া হয়েছে।
আরো দেখুন : করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে দুবাই গেলেন আজমল, বরাক সফর বাতিল