গুয়াহাটি, ২৫ আগস্ট : তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরুণ গগৈ পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই। পিতার অন্তিম ইচ্ছে অনুসারে তিতাবর বিধানসভা আসন থেকে তিনি প্রতিনিধিত্বও করবেন না।
প্রদেশ কংগ্রেস ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান হলেন সাংসদ গৌরব।তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাবার মৃত্যুর পর দল অনাথ হয়ে পড়লেও তাঁর আদর্শ ও মানুষের মধ্যে যে শুভেচ্ছা রয়েছে সেটাই আমার এবং সহকর্মীদের চালিকা শক্তি। গৌরব বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়েও নেই। আমি আমার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার জন্যও রাজনীতি করিনা। আমি শুধু চাই রাজ্যে মহাজোট নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন হোক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, মহাজোট সরকার গঠন করলে মুখ্যমন্ত্রী পদে কলিয়াবরের সাংসদ গৌরব গগৈর নামও চর্চায় আসতে পারে। যদিও মহাজোট এখনও সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেনি।
গৌরব বলেন, দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, দল আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। কংগ্রেস দল তাকে লোকসভায় উপদলপতি এবং এআইসিসি-র ইনচার্জ নির্বাচিত করেছে। যোরহাট জেলার তিতাবর বিধানসভা চক্র থেকে কি তার কখনও প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছে রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে গৌরব গগৈ জানান, প্রয়াত তরণ গগৈ টানা কুড়ি বছর তিতাবর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল তিতাবরে তার উত্তরাধিকার হবেন আমাদের পরিবারের বাইরের কেউ। কিন্তু তিনি হতে হবেন বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। যার জন্য আমি তিতাবর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। এআইসিসি আমার বাবার প্রতি সম্মান জানিয়ে ভাস্করজ্যোতি গগৈকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আমি খুশি। বর্তমানে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তরণ গগৈর অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস দলকে মনে হচ্ছে অনাথ, মন্তব্য করেন সাংসদ গৌরব। আধুনিক অসম তথা আধুনিক গুয়াহাটির নির্মাতা হিসেবে সর্বত্র তরণ গগৈ প্রসংশিত। রাজ্যের যেখানে যাবেন সেখানেই কংগ্রেস দল ও তার ছাপ মিলবে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে আমরা তাঁর ইতিবাচক শক্তি এবং সেই পরিচিত হাসি ছাড়াই লড়ছি। উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন তিন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ২৭ মার্চ, দ্বিতীয় ১ এপ্রিল ও তৃতীয় ৬ এপ্রিল। ভোট গণনা হবে আগামী ২ মার্চ।
আরো দেখুন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করল ভারত