শিলচর, ৮ মার্চ : এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সহ বিজেপির ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মী ও ভুবনতীর্থ উন্নয়ন কমিটির কর্মকর্তারা। রবিবার প্রথমবারের মতো ভুবন পাহাড়ের চূড়ায় অবস্হিত ঐতিহ্যবাহী ভুবনতীর্থে পৌছলো গাড়ি ও বাইক। এদিন গাড়ি ও বাইক নিয়ে আমড়াঘাট কৃষ্ণপুর রাস্তা দিয়ে ভুবনতীর্থের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সহ ধলাই বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা ভুবন পাহাড়ের চরাই উতরাই পেরিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করে ভুবনবাবার মন্দিরে পৌছন। এই প্রথম ভুবনতীর্থে গাড়ি পৌঁছল। পরে এখানে আগে থেকে উপস্থিত ভুবনতীর্থ উন্নয়ন ও মেলা কমিটির সভাপতি বিসি নাথ, সাধারণ সম্পাদক বিভাশ চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ভুবন বাবার উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করে পূজার্চনা করেন পরিমল সহ অন্যান্যরা।

মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, ভুবনতীর্থে গাড়ি পৌঁছবে তা কোনও দিন কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। কিন্তু ভুবনবাবার কৃপায় আজ পাহাড়ের চুড়ায় গাড়ি পৌঁছে গেছে। তাঁর স্বপ্ন ছিল ভুবনতীর্থে একদিন গাড়ি ওঠবে। আর এই লক্ষ্য নিয়ে প্রথমে এনরেগা প্রকল্পের মাধ্যমে গত আড়াই বছর আগে কৃষ্ণপুর হয়ে রাস্তার কাজ শুরু করেন। কিন্তু এতে সাফল্য আসেনি। পরে তাঁর নিজস্ব তহবিলের সিগনেচার প্রজেক্টের ১০ কোটি টাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দেড় বছর আগে অসম টুরিস্ট থেকে আরও চার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। আর এই টাকায় প্রাথমিক ভাবে রাস্তার পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। তিনি বলেন, এবারের শিবরাত্রিতে হয়তো যানবাহন নিয়ে তীর্থযাত্রারা ভুবনতীর্থে আসতে পারবেন না। কিন্তু আগামী দিনে গাড়ি নিয়েই ভক্তরা আসতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একদিন মহাতীর্থ কামাখ্যার মতো হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরো দেখুন : সোনাই সহ ১৯ আসনের প্রার্থী তালিকা এআইইউডিএফ-এর