শিলচর, ১২ সেপ্টেম্বর : বিধায়ক দিলীপকুমার পালের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিদ্ধ করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর। তার দাবি, বিগত পাঁচ বছর তিনি পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকাকালীন বিধায়ক পাল কোনও ধরনের সহযোগিতা করেননি। বরং উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিনিয়ত বাগড়া দিয়েছেন। বর্তমানে বিধায়ক দিলীপবাবুই নাকি ‘বেনামে’ পুরসভা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিধায়ক পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে তোপ দাগেন ঠাকুর।
শিলচরের শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি পুরসভার বিরুদ্ধে যে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে, তা একবাক্যে খণ্ডন করেন প্রাক্তন পুরপতি। ঠাকুর জানান, বিজেপি-শাসিত পুর বোর্ডের আমলেই ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। আর তার বাস্তবায়নে সর্বোতভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পুর বোর্ডের সময়সীমায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ওএনজিসি এ কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর সিআইটিএফের আশ্বাসে প্রকল্প ও ডিপিআর জমা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে। সেখান থেকে মোট ১২টি বিষয়ে ছাড়পত্র চাওয়া হয়। যার মধ্যে পুরসভার অধীনে ছিল চারটি। এর মধ্যে দুটি বিষয়ে ছাড়পত্র অনেক আগেই বের হয়ে যায়। বাকি দুটিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনও সময় তা আদায় করা সম্ভব। বাকি ৮টি বিষয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ করার কথা প্রজেক্ট রিপোর্ট প্রস্তুতকারী সংস্থার। যা এখনও হিমঘরে রয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ করে বিভাগে না পাঠালে ইলেকট্রিক চুল্লি প্রকল্পের অনুমোদন মিলবে না। তার জন্য বিষয়টি ঝুলে রয়েছে বলে ঠাকুর উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে নীহারেন্দ্র নারায়ণ আরও বলেন, শিলচরের বিধায়ক তো বেনামে এখন পুরসভা চালাচ্ছেন। তার অনেক ক্ষমতা রয়েছে। শিলচর থেকে গুয়াহাটিতে। এখন তিনিই ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে পারেন। গুয়াহাটিতে টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং বিভাগে এবং সিটি লেভেল ইমপ্লিমেন্টেশন ও মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে থাকা কাছাড়ের জেলাশাসকের কাছে তদবির করতে পারেন। পুরসভায় যেহেতু তিনি এখন নেই, তাই বিধায়কই ব্যবস্থা নিন। উল্লেখ করেন ঠাকুর।
যা বলেছেন নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর, দেখুন ভিডিও—