শিলচর, ৩১ জানুয়ারিঃ জল মানে জীবন। জল ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ বাঁচতে পারেনা। এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া এবং যুব মন্ত্রণালয় সমস্ত ভারতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনাগুলো পূরণ করতে সমস্ত ভারতে নেহরু যুব কেন্দ্রের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে শিলচরে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে জেলা ভিত্তিক সচেতনতামূলক সভার সূচনা করল কাছাড় জেলা নেহেরু যুব কেন্দ্র ও জেলা প্রশাসন। কাছাড় জেলা পরিষদ কার্যালয়ের কনফারেন্সে হলে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে এই কাজের শুভারম্ভ হয়েছে।

শুরুতে সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন নেহরু যুব কেন্দ্রের জেলা আধিকারিক মেহবুব আলম লস্কর। সভায় মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা উন্নয়ন আধিকারিক (ডিডিসি)- জে আর লালসিম। সভায় বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য উপস্থিত সবাইকে নিয়ে শপথ গ্রহণ করানো হয়। শপথ পাঠ করান ডিডিসি জে আর লালসিম। অনুষ্ঠানে সব বক্তাই বৃষ্টি জল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ইন্জিনিয়ার মন্দীপ কর বলেন, কাছাড় জেলায় বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ থেকে যথাযথ টেকনিক্যাল সাহায্য করা হবে। সভায় জলসেচ বিভাগের ইন্জিনিয়ার এস আর নাথ মাঝারভূইয়া বলেন, সব বিভাগ একত্রে যদি বৃষ্টিরজল সংরক্ষণে কাজ করে যায় তাহলে অবশ্যই সাফল্য আসবে। তিনি উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটা পরিকল্পনা সভা করার প্রস্তাব দেন। জেলা উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক(ডিডিসি) জে আর লালসিম এবং জেলা নেহরু যুব কেন্দ্রের আধিকারিক মেহবুব আলম লস্করকে সব বিভাগকে এরকম একটা সভা করার অনুরোধ জানান। জেলা পরিষদ সিইও দীপশিখা দে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। জেলা কৃষি বিভাগের রাহুল চক্রবর্তী বলেন, কৃষি ক্ষেত্র থেকে শিরি করে জীবনের সবই ক্ষেত্রেই মানুষ বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল। বৃষ্টির জলের দিকে দেখে আমরা কৃষি ক্ষেত্র চালিয়ে যাই। সেজন্য বৃষ্টিরজল সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বিভিন্ন যুব সংস্থার কর্মকর্তা, মহিলা সমিতির কর্মকর্তা সহ নেহরু যুব কেন্দ্রের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
আরো দেখুন : আসাম আন্দোলনে বাঙালি নির্যাতন ছিল ‘কালো অধ্যায়’, দাবি সাংসদ রাজদীপের