নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর : ভারতে বাক্ স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার অপব্যবহার হচ্ছে ব্যাপক হারে। বাক্ স্বাধীনতার নামে একাংশ লোক যথেচ্ছাচার চালিয়ে যাচ্ছে।দিল্লিতে তবলিগি জামাতের সমাবেশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ যেভাবে ‘সাম্প্রদায়িক ঘৃণা’ ছড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় একথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামাকেও ‘অত্যন্ত আপত্তিকর এবং নির্লজ্জ’ বলে মন্তব্য করল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে-র নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
ভারতে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে তবলিগি জামাতের সমাবেশ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করে জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ। তাদের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তবলিগি জামাতের সমাবেশকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। ওই সমাবেশ থেকেই নাকি সংক্রমণ এত ছড়িয়েছে দেশে, এই মর্মে দেশের কিছু সংবাদমাধ্যম নিরন্তর ঘৃণা এবং মিথ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে! এই মামলায় মিডিয়ার পক্ষে দাঁড়ায় কেন্দ্র সরকার। হলফনামা দিয়ে সরকার আদালতে জানিয়েছে, ‘কোথাও খারাপ রিপোর্টিং করা হয়নি।’ কড়া ধমক দিয়ে শীর্ষ আদালত বলে, ‘আবেদনকারী যে রিপোর্টগুলির কথা উল্লেখ করেছে, সে ব্যাপারে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছে, তা অবশ্যই জানাতে হবে।’
কেন্দ্রীয় সম্প্রচার মন্ত্রকের এক জুনিয়র অফিসারকে দিয়ে হলফনামা দাখিল করেছে মোদি সরকার। এতে বিরক্ত হয়ে এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে তোপ দেগে বিচারপতিরা বলেন, হলফনামায় অপ্রয়োজনীয় এবং অবাস্তব তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে। কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আধিকারিককে দিয়ে ফের হলফনামা দাখিল করতে হবে এবং তাতে যেন মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে।