ঢাকাঃ বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের। যা কখনোই দুর্বল হবার নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি রক্তের সম্পর্ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতীয়রা রক্ত ও আশ্রয় দিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে, তাও পৃথিবীর আর কোন দেশের সঙ্গে নেই। তাই এ সম্পর্কটি কখনোই দুর্বল হওয়ার নয়। এ সম্পর্কটি নিয়ে নতুন করে কথা বলার কিছু। নৌ-পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তি, প্রকল্প ও কার্যক্রম রয়েছে। দু’দেশের কানেক্টিভিটি বাড়াতে নৌপথ অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। আমরা আলোচনা করে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ বাংলাদেশস্থ ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস তাঁর দপ্তরে সাক্ষাত করতে আসেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে আমরা খুব ক্লোজলি কাজ করে থাকি। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে। অনেক কাজ হয়েছে। আমরা কোভিডের মধ্যেও এক সঙ্গে কাজ করেছি। এটা সম্পর্ক ক্লোজ হওয়ার কারণেই হয়েছে, এখানে ট্রেড ট্রেন চলছে। সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। বরং অনেক বেশি সুচারু হয়েছে। এখানে অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে। একসঙ্গে অনেকগুলো প্রজেক্ট করেছি। সব মিলিয়ে আমরা খুবই খুশি । এটা দু’দেশের জন্য ভাল অবস্থান। আমাদের ট্রেড বাড়বে। এটাতে বাংলাদেশেরও লাভ হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে জাহাজ চলাচলের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরের আলোকে ট্রায়াল ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এখন বাকিগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কোনও অসুবিধা নেই। সেটা সহজভাবে হয়ে যাবে। অতি জরুরি চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক ভিসা আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা নরমাল ভিসার বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে তা নির্ভর করছে কোভিড ও ফ্লাইট চলাচলের ওপর। তিনি বলেন, এখনওতো কোভিডের ফিগারগুলো আপ-ডাউন করছে। শিগগিরই রেগুলার ভিসা চালু করার ব্যাপারেও জানান ভারতীয় হাইকমিশনার। হাইকমিশনার বলেন, এসওপি সাইন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন, গত অক্টোবর মাসে। সেই এসওপিটাকে বাস্তবায়ন করা হল। ফার্স্ট ট্রায়াল রানটা হয়েছে, এখন আমাদের ওটাকে একটু ফাইনালাইজ করতে হবে। যাতে রেগুলার ট্রায়াল চলে। ইটস আ ভেরি এক্সাইটিং সেক্টর। যেটা উইন ফর বোথ সাইডস।’