শিলচর, ১৬ ফেব্রুয়ারিঃ বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজের কাছের মানুষের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দুলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক। এ নিয়ে প্রতারকের বিরুদ্ধে হাইলাকান্দি সদর থানায় মামলা দায়ের করলেন প্রতারিত হাইলাকান্দি নেহরু যুব কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মনজুর আলম বড়ভুইয়া। মঞ্জুরের বাড়ি কাছাড় জেলার দুধপাতিল গ্রামে হলেও তিনি ২০ বছরের অধিককাল থেকে হাইলাকান্দি নেহরু যুবকেন্দ্রে কাজ করার সুবাদে সেখানে বাসা ভাড়া করে থাকেন।
মামলার বয়ানে বলা হয়েছে, হাইলাকান্দির বিলপার ধূমকেতুর বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন লস্করের পুত্র মকসুদ আহমদ লস্করের সঙ্গে মঞ্জুর আলম বড়ভুইয়ার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। এই সুবাদে মকসুদ প্রায়ই মঞ্জুরের বাসায় আসা যাওয়া করায় সম্পর্ক আরও সুদৃড় হয়। অবিবাহিত মঞ্জুর প্রায়ই শারীরিক অসুস্থতার জন্য মকসুদকে দিয়ে নিজের এটিএম দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠাতেন। কয়েকবার টাকা উঠিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাস করে তাকে এটিএম কার্ডের পিনকোডও জানিয়েছিলেন। কিন্তু শুরু থেকে প্রতারক মকসুদ মঞ্জুর আলমের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ নিজের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে থাকে। কিন্তু তিনি তা টের পাননি। কিছুদিন আগে মঞ্জুরের মা মারা যান। বড় অঙ্কের কিছু অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি নিজে এটিএম থেকে টাকা উঠাতে গিয়ে দেখেন চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলতে পারছেন না পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায়। এতে তার মাথায় হাত পড়ে। সঙ্গেসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের হাইলাকান্দি শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট প্রিন্ট নেন। প্রিন্ট দেখে তার চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়।দেখেন গত দুবছরে তার অ্যাকাউন্ট থেকে মকসুদ প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছে। এরপর তিনি মকসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে এ ব্যাপারে কোনও পাত্তাই দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইলাকান্দি সদর থানায় মকসুদের বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা পেয়ে তদন্ত শুরু করতেই গা ঢাকা দিয়েছে প্রতারক মকসুদ। ফোন করলে তার মোবাইল স্যুইচ অফ দেখাচ্ছে। এদিকে, এক বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক বন্ধু প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেবার খবরে হাইলাকান্দিতে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ প্রতারককে পাকড়াও করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরো দেখুন : ভোটের মুখে রাজ্যব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনে প্রশাসনিক কর্মচারীরা