প্রমোদ ভ্রমণে গিয়ে যুবতীকে অচেতন করে ধর্ষণ! ধৃত চিকিৎসক সহ তিন
শিলচর, ১১ মে : একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিলচর এনআইটি প্রাঙ্গণে পরিচারিকাকে ধর্ষণের ঘটনার পর এবার কালাইনে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়ে যৌনাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে অচেতন করে যুবতীকে ভোগ করার পর শিলচরে এনে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে এক চিকিৎসক ও এক মহিলা সহ তিনজনকে। পিকে দাস নামে ওই চিকিৎসক লক্ষীপুরের বাসিন্দা। ধৃত মহিলা সুনিতা দেবীর বাড়ি শিলচর ইটখোলা স্বামীজি রোডে। অন্যজন সুবোধ দাস পেশায় যানচালক। সুবোধও স্বামীজি রোডের বাসিন্দা।
বছর পঁচিশের যুবতী মূলত দক্ষিণ কাছাড়ের বাসিন্দা। তবে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের সূত্রে ভাড়া ঘরে থাকেন শিলচরে। যুবতী রবিবার রাতে শিলচর সদর থানায় হাজির হয়ে দায়ের করেন এজাহার। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সুনীতা দেবী তার পূর্ব পরিচিত। রবিবার সকালের দিকে সুনিতা দেবী তাকে বলেন, ঘুরতে যাচ্ছেন কালাইনে, সঙ্গে যেতে বলেন তাকেও। সুনিতা দেবীর কথায় রাজি হয়ে তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তিনি পৌঁছান ক্যাপিটাল ট্রাভেলস মোড়ে। সেখান থেকে সুনিতা দেবী তাকে একটি গাড়িতে উঠান। গাড়িতে চালক ছাড়া ছিলেন আরও একজন।
ক্যাপিটাল মোড়ে তাকে উঠানোর পর পথে তারাপুর এলাকায় গাড়িতে থাকা অন্য লোকটি কেনেন কিছু মাছ। এরপর কালাইনে পৌঁছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বাড়িতে। ওই বাড়িতে মাছ রান্না করেন সুনিতা। এসবের মাঝে বসানো হয় নেশার আসর। জোর করে তাকে পান করানো হয় অনেকটা মদ। এতে এক সময় তিনি অর্ধ অচেতন হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তিনি বুঝতে পারেন তার উপর উপর একাধিকবার চালানো হয়েছে যৌনাচার। যদিও তখন তার বাধা দেবার শক্তি ছিলনা। এসবের পর বিকেলের দিকে গাড়িতে করে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় শিলচরে। অন্নপূর্ণা ঘাটের কাছে সন্ধ্যার পর তাকে নামিয়ে রেখে দেওয়া হয় রাস্তার পাশে। কিছুক্ষণ পর নেশা কেটে গেলে তিনি হাজির হন থানায়।
যুবতীর এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার প্রথম গ্রেফতার করে সুনিতা দেবীকে। এরপর তার সূত্রে গ্রেফতার করা হয় যানচালক সুবোধ দাস এবং ডা: পি কে দাসকে। সকালের দিকে সুনিতা দেবী এবং সুবোধ দাসকে গ্রেফতারের পর দুজনকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত সুনিতা দেবীকে প্রেরণ করেছে হাজতে। আর সুবোধ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের অনুমতিতে দুদিনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ রিমান্ডে। ডা: পি কে দাসকে বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয় লক্ষীপুর থেকে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে।
আরো দেখুন : মেডিক্যাল থেকে পালিয়ে গেল করোনা রোগী, পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক