অযোধ্যা, ২০ ডিসেম্বর : পাশ্চাত্য স্থাপত্বের আদলে নির্মাণ হবে অযোধ্যার মসজিদ : অযোধ্যায় প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা প্রকাশ করল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ট্রাস্ট ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। সেই নকশা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে।নির্মীয়মাণ রাম মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকার থেকে প্রাপ্ত ৫ একর জমিতে এই মসজিদ গড়ে উঠবে। নকশা অনুসারে নতুন মসজিদের সঙ্গে পুরনো বাবরি মসজিদের স্থাপত্যের মিল নেই। যদিও সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন নকশা তৈরির দায়িত্বে থাকা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার স্থাপত্য বিদ্যা বিভাগের ডিন এসএম আখতার।
নকশা প্রকাশ করে আখতার জানান, প্রস্তাবিত এই মসজিদ তৈরি হচ্ছে পুরোপুরি পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে। মূল ভবনে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। মসজিদের মাথায় ঐতিহ্য মেনে গম্বুজ থাকলেও তার ধরণ আলাদা। এছাড়া প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য যে বিল্ডিংটি গড়ে তোলা হবে তা গড়ে উঠবে রীতিমতো ঝাঁ চকচকে ভাবে। মসজিদ চত্বরে তৈরি হবে একটি কমিউনিটি কিচেন, একটি লাইব্রেরি। গোটা মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। মসজিদে একসঙ্গে ২০০০ মানুষ বসে নামাজ পড়তে পারবেন। নামাজ পড়তে বসার জায়গাটি হবে গোলাকৃতি। এছাড়া মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও। পাশ্চাত্য স্থাপত্বের আদলে নির্মাণ হবে অযোধ্যার মসজিদ, প্রকাশ্যে এল নকশা

সম্ভবত আগামী বছরই মসজিদ নির্মাণের প্রথম দফার কাজ শুরু হবে। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। প্রথম দফায় মসজিদ এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তৈরি হবে হাসপাতাল এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু। জানা গিয়েছে, এখনও এই মসজিদের কোনও নাম ঠিক হয়নি। তবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, কোনও রাজা, সম্রাট বা বাদশাহের নামে এই মসজিদের নামকরণ করা হবে না।
আরো দেখুন : টোল প্লাজা মুক্ত হবে ভারত, জানালেন গাড়কাড়ি