নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বরঃ আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। নিয়মভাঙার খেলায় সফল রাজধানীবাসী। আদালতের নিষেধ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, পরিবেশবিদদের সতর্কতা সবকিছু ফুৎকারে উড়িয়ে দীপাবলির রাতে বাজি-পটকা পুড়িয়ে বারোটা বাজালেন দিল্লির।দেদার বাজি পোড়ানোয় দিল্লির বাতাস আরও দুষিত হয়েছে। তাই দীপাবলির পরদিন রবিবার সকালে রাজধানীর বাতাসে বিষের মাত্রা ‘গুরুতর’ পর্যায়ে ধরা পড়েছে। আকাশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে কৃষি বর্জ্য পোড়ানোয় দূষণ আরও খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে।
দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির তথ্য অনুসারে রবিবার সকাল ৮টায় দিল্লিতে গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৬৮। ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, পিএম ২.৫ এর উচ্চমাত্রায় কিছুক্ষণ থাকলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বাড়তে পারে রক্তচাপ ও হাঁপানি। রাজধানীর সমস্ত এলাকা ৪০০র ওপরে পিএম ২.৫ স্তরে রয়েছে। কোনও কোনও অঞ্চল আশঙ্কাজনকভাবে ৫০০র কাছাকাছিও পৌঁছে গেছে। বায়ুদূষণ চরমে পৌঁছনোয় ৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩০ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে (এনসিআর) বাজি বিক্রি ও পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু দিলওয়ালেদের শহর দিল্লির মানুষ সেই নিষেধ অমান্য করে বাজি পোড়াতে মেতে ওঠেন।যদিও রবিবার বিকেলের দিকে দিল্লির বাযু দূষণের হার কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজধানীজুড়ে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ুর গতিপথও বদল হয়ে দক্ষিণ-পূর্বমুখী হতে পারে। আর তাতেই কিছুটা সুরাহা মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূষণের মাত্রাও যেভাবে দিল্লিতে বাড়ছে তাতে গভীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার বিকেল ৫টায় এনিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।