শিলচর, ২ অক্টোবরঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কিশোরী গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ সহ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলার এবং গ্রেফতার করায় প্রতিবাদ জানালেন শিলচর কংগ্রেস কর্মীরা। শুক্রবার শিলচর ডাকবাংলো পয়েন্টে ক্ষুদিরাম মুর্তির পাদদেশে কংগ্রেসের বিভিন্ন গণ সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন। এদিন সকালে যুব কংগ্রেস, মহিলা কংগ্রেস ও জেলা কংগ্রেসের কর্মকর্তারা আন্দোলন গড়ে তোলেন।আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শিলচর ডাক বাংলো পয়েন্ট। নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থতার অভিযোগ সহ নানা স্লোগানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলেন কংগ্রেসিরা। আন্দোলন স্থলে পুলিশ পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধে নেমে পড়েন। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কুশপুতুল পোড়ানোর আগেই কংগ্রেসিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভ চলাকালে যুব কংগ্রেসের সভাপতি জাভেদ আখতার লস্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্লোগান ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বলবৎ নয় কি এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। অথচ বিজেপি শাসিত যোগী সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি হাথরসের দলিত কিশোরীকে গণ ধর্ষণ করে জিব্বা কেটে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। তিনি উত্তর প্রদেশের সরকার যোগী আদিত্যনাথ এর পদত্যাগ চাইলেন। এই নিশংস ও জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে টানাহ্যাঁচড়া করে গ্রাফতার সহ মামলা করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ দিনের আন্দোলনে নেতৃত্ব স্থানে ছিলেন ছিলেন কংগ্রেসের কুশল দত্ত, অনুপম পাল, অভিজিৎ পাল, পাপন দে, সঞ্চিতা আচার্য সহ আরও অনেকে। উপস্থিত ছিলেন শিলচর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপকুমার দেবও। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কুশপুতুল দাহ করার আগেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।