করিমগঞ্জ, ২৫ আগস্টঃ টাইম8 বাংলার খবরের প্রভাব। অবশেষে রাতাবাড়ির শিংলা নদীর বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলো বন বিভাগ। উল্লেখ্য গত কয়েক মাস হতে চেরাগি ফরেস্ট রেঞ্জের অধীন আনিপুর হতে রংপুর পর্যন্ত শিংলা নদীতে অবৈধভাবে খনন চালিয়ে আসছে বালি মাফিয়ারা। রাতাবাড়ি সমষ্টির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী শিংলার বালি বরাক বিখ্যাত । কারণ শিংলা নদীর বালির দানা চিনির মতো এবং তাতে নেই কোন পলি মাটির মিশ্রন। ফলে যে কোন নির্মাণ কাজে শিংলার বালি কে দেওয়া হয় প্রাধান্য। আর শিংলার বালির এই চাহিদার জন্যই রাতাবাড়িতে গজিয়ে উঠেছে বালি মাফিয়াদের সাম্রাজ্য । সমষ্টির মোকামছড়া, চামটিলা, ফানাইরবন্দ, নিভিয়া, চেরাগী ইত্যাদি স্থানে শিংলা নদীর বুকে মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে অবৈধ নদী খনন। আনিপুর জামুয়াং সড়কের পাশে যত্রতত্র নদী হতে অবৈধ ভাবে বালি তুলে স্তূপাকারে মজুত করা হচ্ছে । আর প্রতিদিন শ শ ট্রাক ভর্তি করে ঐ বালি পাচার হচ্ছে উপত্যকার সর্বত্র । এমন কি চেরাগি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস হতে মাত্র ১ কিঃ মিঃ দূরে বিরজাপুরে পূর্ত সড়কের পাশে নদীর বুকে পাম্প মেশিন বসিয়ে অবাধে তোলা হচ্ছে বালি। এতে একদিকে মার খাচ্ছে সরকারি রাজস্ব অপর দিকে ওই অবৈধ খননের ফলে খরস্রোতা শিংলার বেড়ে গেছে ভাঙন। সম্প্রতি টাইম8 বাংলায় রাতাবাড়িতে গড়ে উঠা অবৈধ বালি মাফিয়াদের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় টনক নড়েছে জেলার বন কর্তাদের। করিমগঞ্জের ডি এফ ও – র নির্দেশে গতকাল দূল্লভছড়ার ফরেস্ট বিট অফিসার পঙ্কজ আচার্য চেরাগি রেঞ্জের বনকর্মীদের নিয়ে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন। তিনি এস্কেভেটর দিয়ে মোকামছড়া, দরগারবন্দ, চামটিলা এলাকার বেশ কয়েকটি অবৈধ বালির ডাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে স্তূপাকারে মজুত রাখা বালি ফেলে দেন নদীতে। বনবিভাগ অবৈধ বালির বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে ও রহস্য জনক ভাবে বালি তোলার কোন মেশিন কিন্তু জব্দ করতে পারে নি। সেইসঙ্গে ওই এলাকার একাধিক স্থানে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ বিভাগের মনরেগা প্রকল্পে জবকার্ড ধারী শ্রমিকদের দ্বারা মাটি ভরাটের বদলে যন্ত্র লাগিয়ে অবৈধভাবে নদী খনন করে বালি ভরাটের কাজ চললেও রহস্যজনক ভাবে বন বিভাগ কিন্তু সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বন বিভাগের ওই অভিযান কে লোকদেখানো অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার পরিবেশ প্রেমী মানুষ। তবে ফরেস্ট বিট অফিসারের বক্তব্য এই অভিযান এখন অব্যাহত থাকবে। বালি মাফিয়া সহ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ বিভাগ কাউকে আর অবৈধ ভাবে নদী খনন করতে দেওয়া হবে না। আগামী দিনে বন বিভাগ ওই অবৈধ বালির বিরুদ্ধে কি ধরণের পদক্ষেপ নিবে তা সময়েই জানা যাবে ।