নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বরঃ অসম সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ওয়ার্কশেড কর্মসূচির আওতায় স্বল্প খরচে কংক্রিটের পাকাবাড়ি বানিয়ে দিচ্ছে খাদি কমিশন। গরিব খাদি শিল্পীদের মাথা গুঁজার ঠাই করে দিতেই কমিশনের এই উদ্যোগ। অসমের নলবাড়ি জেলার ৪৪ বছর বয়সী খাদি শিল্পী নিরু কলিতার মতো মোট ৪১১ ব্যক্তি গত তিন বছরে ওই প্রকল্পে পাকা বাড়ি পেয়েছেন। নিরু ও তাঁর পরিবার বহুদিন গৃহহীন অবস্থায় জীবন কাটিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্রের বন্যার ফলে বারবার ভূমিধস নামায় ফি বছর বহু বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। বহু বছর ধরে এভাবে কাটানোর পর কমিশনের উদ্যোগে নিরু কলিতার মতো অনেকেই আজ পাকা বাড়িতে বসবাস করছেন। খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) ওয়ার্কশেড কর্মসূচির আওতায় খাদি শিল্পীদের জন্য পাকা বাড়ির সংস্থান করছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয়কুমার সাক্সেনা বলেছেন, খাদি শিল্পীদের জীবন-জীবিকার সংস্থানে কমিশন সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে। এই লক্ষ্যে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ পরিকল্পনাকে অনুসরণ করে খাদি শিল্পীদের জীবনের মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ খাদি শিল্পীদের বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।বর্তমানে এই উদ্যেশ্য অনেকটাই সফল। জানা গেছে, ওয়ার্কশেড কর্মসূচির আওতায় কংক্রিটের প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ হয় ৬৬ হাজার টাকা। আইআইটি গুয়াহাটি স্বল্প খরচের এই বাড়িগুলির নক্শা প্রণয়ন করেছে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে কমিশন ৬০ হাজার টাকার অনুদান দেয়। বাকি ৬ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট খাদি শিল্পী যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেই খাদি প্রতিষ্ঠান বহন করে।