শিলচর, ৬ জানুয়ারি : শিশুসহ ‘অপহৃত’ কোকরাঝারের শলাকাঠি এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে শিলচর হাসপাতাল রোড থেকে। সঙ্গে আটক করা হয়েছে দুজনকে। আটক দু’জন হল ধুবড়ি জেলার পচারকান্দির মুস্তাফিজুর রহমান ও মইদুল ইসলাম।আমিনা খাতুন (পরিবর্তিত নাম) নামে বছর ২৭-এর এই গৃহবধূ শিলচরে গত ২৫ ডিসেম্বর তার ৪ বছরের শিশুকন্যা সহ বাড়ি থেকে নাপাত্তা হন। এ নিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে শলাকাঠি থানায় দায়ের করা হয় এজাহার। এতে অভিযোগ করা হয়, কে বা কারা শিশুকন্যা সহ আমিনাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহরণের পর ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে এক লক্ষ টাকা। হুমকি দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় হত্যা করা হবে শিশু কন্যাকে। এই এজাহারের ভিত্তিতে শলাকাঠি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মোবাইল ট্রাকিং করে দেখা যায় আমিনা খাতুন রয়েছেন শিলচরে। তাই শিশুকন্যাসহ তার ফটো পাঠানো হয় শিলচর পুলিশের কাছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিলচর হাসপাতাল রোডে শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে ঘুরাঘুরির সময় স্থানীয় পুলিশের নজরে পড়ে যান আমিনা। তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্ধান মিলে মুস্তাফিজুর রহমান এবং মইদুল ইসলামের।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আমিনা যে বয়ান দিয়েছেন সে অনুযায়ী, মুস্তাফিজুর তার প্রেমিক। বর্তমানে মুস্তাফিজুর কাজ করে গুয়াহাটিতে। প্রেমিক মুস্তাফিজুরের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্য তিনি স্ব-ইচ্ছায়ই পালিয়ে এসেছেন গৃহবধূ শিলচরে । সঙ্গে এসেছে মুস্তাফিজুরের বন্ধু মইদুলও। এখানে এসে তারা উঠেছিলেন হাসপাতাল রোডের এক হোটেলে। হোটেল থেকে বেরিয়ে এটিএমে টাকা উঠাতে যাওয়ার সময় নজরে পড়ে যান পুলিশের। পুলিশের সূত্রটি আরও জানান, মুস্তাফিজুর জিজ্ঞাসাবাদে ফোন করে মুক্তিপণের অর্থ দাবির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, সে মোটেই ফোন করেনি আমিনার বাড়িতে।
পুলিশ অবশ্য এই মুহূর্তে এ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশের সূত্রটির কথায়, প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে আমিনাকে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে এখানে নিয়ে আসার পেছনে মুস্তাফিজুরদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা, বর্তমানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগও। জানা গেছে, আমিনা উদ্ধার হওয়া এবং মুস্তাফিজুর ও মইদুল ধরা পড়ার খবর পেয়ে কোকরাঝার থেকে শলাকাঠি পুলিশ ইতিমধ্যে শিলচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
আরো দেখুন : ১১টি দেশের ২২টি ছবি নিয়ে শুরু বীক্ষণ চলচ্চিত্র উৎসব