করিমগঞ্জ, ৯ এপ্রিল : করোনা শনাক্ত এক রোগীর বাড়িতে কন্টেইনমেন্ট জোন বোর্ড লাগাতে বাধার সম্মুখীন হলেন প্রশাসনিক কর্তারা। শেষ পর্যন্ত বোর্ড না লাগিয়ে অপদস্থ হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন তারা। আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ শহরের সুভাষনগর রোডে। জানা গেছে, সুভাষনগর রোডের শেফালি কুটিরের এক ভাড়াটে শংকর দাস (৫৫) শারিরীক অসুস্থতাবোধ করলে মঙ্গলবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল যান। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার করোনা পরীক্ষা করলে রেজাল্ট আসে পজিটিভ। এরপরই তৎপরতা বৃদ্ধি পায় প্রশাসনের। আক্রান্ত ব্যক্তি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেটি কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেই বাড়িতে কন্টেইনমেন্ট পোস্টার লাগাতে ছুটে যান। সেখানে পৌছতেই তারা বাধার সম্মুখীন হন। প্রশাসনের কর্তাদের বাড়ি মালিক ও তার মেয়ে নেহা দাস তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে প্রচন্ড বাধা দেন। কি কারণে পুরো বাড়ি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে এ নিয়ে চলে তর্ক বিতর্ক। এক সময় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রচন্ড গালিগালাজ করেন বাবা ও মেয়ে। বেশ কিছু সময় এ রকম কড়া সুরে তর্ক বিতর্ক চলতে থাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত ওয়ে উঠে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তারা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তাদের একরকম তাড়িয়ে দেন তারা। এমন ঘটনায় এলাকাবাসীরাও হতবাক। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান প্রশাসনিক কর্তারা।
আরো দেখুন : ভোট প্রচারে মাস্ক নেই, কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ আদালতের