চেন্নাই, ২৫ সেপ্টেম্বর : মারণ করোনার কাছে অবশেষে হার মানলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম। শুক্রবার দুপুরে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪। গত আগস্ট মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পী। গতকাল থেকেই অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। রাখা হয়েছিল সর্বোচ্চ লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বুলেটিনে বলা হয়েছিল, গত ২৪ ঘন্টায় এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যমের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাঁকে ম্যাক্সিমাম লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এমজিএম হেলোথকেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম সর্বক্ষণ পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক জেনে শুক্রবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন কমল হাসান। গায়কের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন সলমন খানও।
১৯৬৬ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র শ্রী শ্রী শ্রী মেরিয়াদা রমনার মাধ্যমে গানের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তেলুগু, তামিল, মালায়ালম, কন্নড় এবং হিন্দি সহ ১৬ টিরও বেশি ভাষায় ৪০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। কেবল গানই নয়, বিখ্যাত দক্ষিণী তারকা কমল হাসানের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, এক পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছেন, এবং তাঁরা দুজনের প্লেব্যাক সিঙ্গার। ৬টি জাতীয় পুরস্কার জয়ী এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম ইলাইয়ারাজা, এ আর রহমানের পাশাপাশি কাজ করেছেন আরও অনেক প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে। দক্ষিণী ছবির জগতের পাশাপাশি বলিউডেও এসপি-র অবদান অনস্বীকার্য। কেরিয়ারের শুরুর দিকে সলমন খানের অসংখ্য ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছিলেন এই বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী। গায়কের পাশাপাশি এসপি ছিলেন অভিনেতা, প্রযোজক এবং ভয়েস অ্যাক্টর। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী এবং পদ্ম বিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।