১২আগষ্টঃ করিমগঞ্জ জেলার অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা সীমান্তের বালিপিপলা জিপির মানিকবন্দ মাহী গ্রামের বাসিন্দা তথা করিমগঞ্জ সিজিএম কোর্টের আইনজীবি শিবেন্দ্র দাসের কাছে মোবাইল ফোনে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে এক দুষ্কৃতি।টাকা না দিলে ভয়ঙ্কর পরিণামের হুমকিও দেওয়া হয়। অবশেষে দশ এগারো দিনের মাথায় নাগ্রা পুলিশ পেট্রল পোষ্ট কর্মীদের হাতে ধরা পড়ল এই কান্ডে জড়িত থাকা দুই যুবক। ধৃতদের মঙ্গলবার করিমগঞ্জ সিজিএম কোর্টে সোপর্দ করা হলে আদালতের নির্দেশে এদিন ওই তাদের ঠাঁই হয় জেল হাজতে।এ মর্মে নাগ্রা পুলিশের ইনচার্জ নবজ্যোতি ডেকা সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ জুলাই স্থানীয় মানিকবন্দ মাহী গ্রামের বাসিন্দা তথা জেলা করিমগঞ্জ দায়রা আদালতের আইনজীবি শিবেন্দ্র দাসের মোবাইলে বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন আসতে থাকে। আইনজীবির কাছে নগদ দশ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং কথামতো টাকা বিশেষ স্থানে পৌছে দেবার জন্য বলে। অন্যথায় তাকে ভয়ঙ্কর পরিস্তিতির সম্মুখীন হতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।অর্থ দাবি করা যুবকরা নিজেদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে আধা বাংলা ও ভাঙ্গা হিন্দিতে কথা বলে ।পরে বিষয়টি আইনজীবী শিবেন্দ্র দাস প্রথমে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের নজরে আনেন।পরবর্তীতে বিধায়কের পরামর্শে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশের স্মরনাপন্ন হন এবং বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জীব কৃষ্ণানের গোচরে দেন। এতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।এসব কান্ডে জড়িতদের ধরতে সবদিকে জাল বিছিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।গত কয়দিন ধরে নাগ্রা পুলিশের একটি দল সাদা পোষাকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে বেশকজন যুবকের গতিবিধির উপর নজর রাখে।এতে সাফল্য আসে।বিশেষ সুত্রের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে স্থানীয় পুলিশের একটি দল মানিকবন্দ মাহী গ্রামে অর্থাৎ আইনজীবি শিবেন্দ্রবাবুর বাড়ির পাশে হানা দিয়ে এ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করে।এদের মধ্যে রয়েছে মইন উদ্দিনের পুত্র লছাই উদ্দিন (২০) ও জমির উদ্দিনের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (১৯)।ধৃতরা পুলিশের জেরার মুখে নিজেদের কুকর্মের কথা স্বীকার করেছে।তবে ওরা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।পুলিশের ধারনা তারা নতুন ভাবে এলাকায় টাকা দাবি করে বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ার উদ্দেশ্যে ছিল।তবে সময়োচিত পদক্ষেপে ওদের সেই আশা পূরণ হয়নি।