মনোজ মোহান্তি, নিভিয়াঃ কাছাড়ের লায়লাপুল সীমান্তে মিজো দুষ্কৃতীদের হামলার পর রাতাবাড়ির চেরাগি রেঞ্জের সিংলা সংরক্ষিত বনাঞ্চল সীমান্তে ও মিজো হামলার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত করে নড়েচড়ে বসলো করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক এমপি অম্বামুদন, নবাগত পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার, রাতাবাড়ির ওসি জয়ন্ত তেরাঙ সহ চেরাগি রেঞ্জ অফিসার যতীন্দ্রমোহন দাস রংপুর সংলগ্ন ছোটভুবিরবন্দ এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ছোটভুবিরবন্দ থেকে মিজোরাম সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল থাকায় এ দিন জেলাশাসক প্রায় এক কিলোমিটার পথ সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত এস্কেভেটরে চেপে সীমান্তে হাজির হন। দেখা যায়, করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তরফে এক সপ্তাহ আগে উচ্ছেদ চালানো স্থানে মিজোরামের তরফে আই আর ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্প স্থাপন করে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।ফলে জেলাশাসক কয়েকশো মিটার দূর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ড্রোনের সাহায্যে গোটা এলাকার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করা হয়।
অসমের জমিতে মিজোদের স্থাপন করা ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্প থেকে কয়েকশো মিটার দূরে অসমের তরফেও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ক্যাম্প বসানোর জন্য করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসনের তরফে স্থান চয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্যাম্পের জন্য বিদ্যুৎ ও পানীয়জলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে রবিবার জেলা প্রশাসনের তরফে সীমান্তে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ভুবিরবন্দ এলাকায় সান্ধ্য আইন জারি এই করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত ঐ এলাকায় চারজনের বেশি লোক সমবেত হতে পারবেন না। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অত্যাবশ্যক কারণেও লোকজন সমবেত হতে পারবেন না। তবে ঐ সীমান্তে অসমের তরফে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে মত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।কারণ প্রায় এক সপ্তাহ আগে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন মিজোদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর উচ্ছেদ করা জমি অভিভাবকহীনভাবে ছেড়ে দেওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে আজ।সঙ্গে সঙ্গেই যদি ঐ জমিতে অসমের সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হলে হয়তো মিজোরা সেখানে তাদের আই আর ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্প তৈরি করে চোখ রাঙাতো না। আর মিজো ব্যাটেলিয়নের সুরক্ষা বলয়ে থেকে মিজো লোকেরা রাতাবাড়ির সংরিক্ষত বনাঞ্চলে আগ্রাসন আরও তীব্রতর করার সুযোগ পেতে না বলে অভিমত স্থানীয়দের।