গুয়াহাটি, ১১ অক্টোবর : এসআই নিযুক্তি কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। এই কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত পুলিশের উচ্চপদস্থ বা পদস্থ আধিকারিকও যদি জড়িত থাকেন, তা হলে তাঁদেরও রেহাই দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অসমের পুলিশ-প্রধান (ডিজিপি) ভাস্করজ্যোতি মহন্ত।
এডিজিপি জিপি সিং এবং আইজিপি (সিআইডি) সুরিন্দর কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত সাংবাদিকদের জানান, এই কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মোট ৪৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনই এসআই নিযুক্তি পরীক্ষার প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁস কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নির্দেশে এই ঘটনা সম্পর্কে সিআইডির কাছে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নলবাড়ি, লখিমপুর এবং কারবি আংলংয়েও পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। এসআই পদে নতুন করে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে গুয়াহাটি এবং ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিজিপি মহন্ত। তিনি জানান, এখন থেকে পুলিশ নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষা অসম পুলিশ নিজেই আয়োজন করবে।
ডিজিপি জানান, যে দশ অভিযুক্ত ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৫ ধারায় নিজেদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছেন তারা তাদের ভাষ্য পরিবর্তন করতে পারবে না, এ কথা স্পস্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসআই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত দিবন ডেকার ফেসবুক পোস্টের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই অভিযানে বিপুল অঙ্কের টাকাও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত টাকাগুলো এসআই কাণ্ডের সঙ্গে কোনও সংযোগসূত্ৰ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গোটা তদন্তে ৩ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার পর আরও ১৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে অসম পুলিশের অভিযানকারী দল।