করিমগঞ্জ, ২৮ ডিসেম্বর : করিমগঞ্জে কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা বললেন এআইসিসির সম্পাদক তথা অসমের যুগ্ম পর্যবেক্ষক বিধায়ক অনিরুদ্ধ সিংহ। ইন্দিরা ভবনে জেলার কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যান্য দলের জোট রাজনীতি সম্পর্কে কংগ্রেস নেতাদের মতামত জানতে চান তিনি।এর পর এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে একে একে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এআইসিসির সম্পাদক।

অসম কংগ্রেসের যুগ্ম পর্যবেক্ষক অবশ্য জোট রাজনীতিকে ভরসা করে থেকে কংগ্রেস সংগঠন না করলেও চলবে এমন ভাবনা যাতে পদাধিকারীরা মাথায় না আনেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দেন।জানিয়ে দেন, গ্রাম গ্রামান্তর, শহর-নগরে ছুটে গিয়ে আগে কংগ্রেস সংগঠনকে মজবুত করে তুলতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। সংগঠন দুর্বল থাকলে সাধারণ নির্বাচন লড়া যাবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, একমাস পর ফিরে এসে ফের জেলায় দলের স্হিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। ইন্দিরা ভবনে চেয়ারে বসে বসে যেন কংগ্রেস রাজনীতি না করেন।তাতে ক্ষতি হবে দলের। ভোটের আগে সাংগঠনিক পর্যায়ে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।এর আগে করিমগঞ্জ সফরে এসে অসম কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও করিমগঞ্জে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করে তুলতে বলেছেন।এর কিছুদিন পর জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদলের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।রজত চক্রবর্তী ফের চেয়ারে বসছেন বসছেন করতে করতে ময়দানে ঝাঁপ দেয় জেলা কংগ্রেসের কোর কমিটি।সতু রায়কে নির্বাচন পর্যন্ত পদে বহাল রাখার সুপারিশ করে এপিসিসিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি করে সুব্রত দেবকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব পেশ হয়।শেষোক্ত প্রস্তাবে এ পর্যন্ত সিলমোহর মারেনি এপিসিসি তবে রজতবাবুর প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে স্হগিত হয়ে পড়ে।এবার সতু রায়কে জেলায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলার কথা বললেন অসমে কংগ্রেসের যুগ্ম পর্যবেক্ষক যে কথা আগেই বলে গিয়েছিলেন পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র সিংহ।