গুয়াহাটি, ৬ মে : এবারের বিধানসভায় অপরাধী সদস্যের সংখ্যা বেশি। গত বিধানসভার সদস্যের তুলনায় এ বছর অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বিধায়কদের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ থেকেও বেশি হারে। ২০১৬ সালে বিধানসভায় নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে চৌদ্দজনের উপর বিভিন্ন ধারায় অপরাধ সংক্রান্ত মামলা ছিল। কিন্তু এবার সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চৌত্রিশে। এর মধ্যে ২৮ জন বিধায়কের উপরই গুরুতর অপরাধের মামলা আছে।
দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর তথ্য জানাচ্ছে, এবার রাজ্যে নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ২৭ শতাংশের উপরই অপরাধজনিত মামলা রয়েছে। অথচ গত বিধানসভায় ১১ শতাংশ বিধায়কেরই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। প্রতি বিধানসভা ভোটেই ভিন্ন ভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বিধায়কের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। বিধায়কদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা ঝুলছে। প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগের মামলা আছে পাঁচজন বিধায়কের উপর। নারী-সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত দুই বিধায়ক।
দলগত পরিসংখ্যান বলছে, সবচাইতে বেশি গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক আছেন কংগ্রেস দলে। এরপরেই আছেন এআইইউডিএফ দলের বিধায়করা। তারপর বিজেপি। কংগ্রেস দলে গুরুতর অভিযুক্ত ১২ জন বিধায়ক ও এআইইউডিএফ দলে দশজন বিধায়ক বিভিন্ন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। বিজেপির ন’জন বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা রয়েছে। একজন অগপ, একজন বড়ল্যাণ্ডের দল ইউপিপিএল ও নির্দলদের মধ্যে আরও এক বিধায়কের উপর গুরুতর অপরাধের মামলা চলছে আদালতে। এই তালিকায় আছেন রাজ্যে নয়া আত্মপ্রকাশ করা রাইজর দলের সভাপতি অখিল গগৈও। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারায় মামলা রয়েছে। এই মুহূর্তে জেলবন্দি রয়েছেন অখিল। অবশ্য জেলে থেকে লড়েই শিবসাগর থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ১২৬ জন বিধায়কের মধ্যে অখিল গগৈর বিরুদ্ধেই সর্বাধিক মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৫২টি মামলায় তিনি অভিযুক্ত।
আরো দেখুন : তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়