শিলচর, ১৪ সেপ্টেম্বর : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতক ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষা কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর বিরুদ্ধে সোমবার শিলচরের বিভিন্ন কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন সংগঠিত করে। এআইডিএসও’র কাছাড় জেলা কমিটি এক প্রেস বার্তায় জানায়, ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের সুরক্ষার প্রশ্নকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, অভিভাবক, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে অযৌক্তিক নির্দেশ জারি করে ছাত্রছাত্রীদের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা তীব্র করে তুলেছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেশিরভাগ কলেজের পরিকাঠামো করোনা সংক্রমণ রুখতে পারবে এ আশঙ্কা ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রবল ভাবে রয়েছে। এই সিদ্ধান্তে গ্রামীণ এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের গণপরিবহনে যাতায়াত করতে বাধ্য করবে যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করা বহু ছাত্র-ছাত্রী এখনও বহিঃরাজ্য রয়েছে তারাও আসার পথে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোভিড কেয়ার সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এআইডিএসও’র সর্বভারতীয় কমিটি সারাদেশের বিশেষজ্ঞ, ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে স্মারকপত্র তৈরি করে গত ৩০ আগস্ট আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি’র চেয়ারম্যান এর নিকট পাঠায়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কেম্পাসে পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনা করে মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে যাতে ছাত্র ছাত্রীদের জীবন ও শিক্ষাবর্ষ রক্ষা করা সম্ভব হয়। স্মারকলিপিতে বিকল্প বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছিল। এআইডিএসও’র পক্ষ থেকে গত শনিবার শিলচর ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে একই দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের দাবির প্রতি গুরুত্ব না দেওয়াতে এদিন ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য হয়েছে।